রমাদ্বান হল বছরের সেই মাস যে মাসে তাক্বওয়া বৃদ্ধির, ঈমান নবায়নের এবং আল্লাহর সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের সুবর্ণ সুযোগ।
কেননা আমাদের চিরশত্রু ইবলিস শয়তান রমাদ্বানে শিকলবন্দী থাকে ; যে আমাদের নাফসকে প্রতিনিয়ত গোনাহের দিকে ধাবিত করার চেষ্টা করে। কারণ, সে আল্লহর কাছে ওয়াদা করেছিল: আমি তোমার বান্দাদেরকে জাহান্নামে নিয়ে ছাড়বো তবে তারা ছাড়া ; যারা তোমার মুখলিস বান্দা। – (ভাবার্থ)
রমাদ্বানে ইবলিস শয়তান বন্দী থাকায় মানুষের মন তুলনামূলকভাবে নেকীর প্রতি আকৃষ্ট হয়। তাই রমাদ্বানে আমরা আমাদের নাফসকে সঠিকভাবে ট্রেইন করতে পারলে পরবর্তী ১১ মাসও তাকে দিয়ে নেকীর কাজ করিয়ে নিতে পারবো ইন শা আল্লহ। কিন্তু রমাদ্বানকে আমরা সঠিকভাবে কাজে না লাগালে শাওয়াল মাস থেকে ইবলিস ঠিকই তার কাজে লেগে যাবে এবং সে অনেক ধৈর্য্যশীল, আর আমরা একটু খেয়াল করলেই বুঝতে পারি সে আমাদেরকে কত কতভাবে পথভ্রষ্ট করার চেষ্টা করে, নেকী থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করে – ধৈর্য্যের সাথে। সবকিছু জেনে বুঝে যখন ইবলিসকে সুযোগ দিতে থাকবো তাতে কি আমরা কখনো উপকৃত হবো!!! মোটেও হবো না।
তাই আমাদেরকে মূলতঃ তিনটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে ক্রমান্বয়ে:
১. নিয়তকে শুদ্ধ করা
২. গোনাহকে না বলা
৩. নেকীর দিকে এগিয়ে চলা
আমরা যারা আল্লহর মুখলিস বান্দা হতে চাই, আমরা জানি তাদের লাইফে প্রতিনিয়ত একের পর এক পরীক্ষা আসতে থাকে। যখন থেকে আমরা বুঝতে শিখি যে কঠিন পরিস্থিতিগুলো আমাদের জন্য পরীক্ষা -পরীক্ষার প্রথমাবস্থায় আমরা ভয় পেয়ে যাই আর ভাবি এই পরিস্থিতি কখনো পরিবর্তন হবে!! তখন বিশ্বাস অবিশ্বাসের দোলনায় দুলতে থাকি। আল্লহর উপর বিশ্বাস তো থাকে কিন্তু এটা পরীক্ষা নাকি কর্মফল এ নিয়ে কনফিউজড হয়ে যাই । তখন খাতায় লিখে ফেলি – কোন কোন ব্যাপারে আল্লহর অবাধ্যতা করেছি!যে কর্মের জন্য এমন পরিস্থিতির শিকার হতে পারি! তেমন কর্ম না পেলে নিশ্চিন্ত মনে পরীক্ষায় ভাল রেজাল্টের চেষ্টা করি। আর যদি কঠিন পরিস্থিতিকে কর্মফল মনে হয় তাহলে চিন্তা করা উচিত – তা কি আল্লহর হক্বের সাথে জড়িত নাকি বান্দার হক্বের সাথে। বান্দার হক্বের সাথে জড়িত হলে অবশ্যই শুদ্ধ নিয়তে আল্লহর বান্দা ও আল্লহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে এবং নিজেকে শোধরেও নিতে হবে। আর আল্লহর হক্বের সাথে জড়িত হলে কায়মনো চিত্তে আল্লহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে এবং শোধরে নিতে হবে । আল্লহ আমাদেরকে সাহায্য করুন। لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِللَّه
আমাদের মন যতক্ষণ পবিত্র না হবে ততক্ষণ আমরা আমাদের নিজেদের দোষ চিহ্নিত করতে পারবো না। আর দোষ বুঝতে না পারলে নিজেকে কিভাবে পরিশুদ্ধ করা সম্ভব!! আর নিজেকে পরিশুদ্ধ করার সবচেয়ে সহজতম উপায় হচ্ছে – “ক্ষমা প্রার্থনা করা “।
এবং আমরা জানি, আল্লহ ক্ষমাশীল। দুনিয়াতে আমরা যাইই করি না কেন, শেষ পর্যন্ত আল্লহর সন্তুষ্টির সাথে মৃত্যু হলে ইন শা আল্লহ আমরা সফল হবো।
আর যার ক্ষমা চাওয়ার যোগ্যতা আছে, আশা করা যায় যে সে অহংকারী নয়। আর অহংকারের ছিটাফোঁটা থাকলে জান্নাতে প্রবেশ সম্ভব হবে না ; যদিও সে অনেক আমলদার হয়, মানুষের কাছে উত্তম বলে বিবেচিত হয়।
রমাদ্বানের সাথে উপর্যুক্ত জ্ঞান দানের কি সম্পর্ক?
গভীর সম্পর্ক। আসলে আল্লহর ইবাদাতের সর্বপ্রথম ধাপ হচ্ছে তাক্বওয়া অর্জন। কোন বান্দার তাক্বওয়া না থাকা স্বত্তেও যদি সে অনেক আমলদার হয়, তাহলে এটাই বুঝা যায় যে – সে ইবলিসের অনুসারী।
কিভাবে?
ইবলিস অনেক আমলদার ছিল এবং এতটাই আমল করেছিল যে তাকে ফেরেশতাদের সর্দার হিসেবে নিযুক্ত করেছিলেন আল্লহ কিন্তু শেষ পর্যন্ত সে তার আমলের বিনিময়ে মানুষের ক্ষতি করার ক্ষমতা চেয়েছে আল্লহর কাছে এবং পেয়েছেও। কোন মানুষ যদি তাক্বওয়া ব্যাতীত আমলদার হয় তাহলে তার আমলের বিনিময়ে দুনিয়াতে আল্লহর পক্ষ থেকে সে কিছু সুবিধা পাবে বটে কিন্তু চিরস্থায়ীভাবে সুবিধা থেকে বঞ্চিতই হবে ইন শা আল্লহ। আল্লহ ভাল জানেন।
তবে কারো যদি ফরজ ইবাদাতের বাইরে কোন আমল নাওও থাকে কিন্তু তাক্বওয়া থাকে তাহলে তার দুনিয়া আখিরাহ দুটোই সফল হবে ইন শা আল্লহ। আল্লহু আ’লাম।
আচ্ছা… তাক্বওয়া কাকে বলে?
তাক্বওয়া হচ্ছে ভয় ; যে ভয় আল্লহর অবাধ্যতা বা গোনাহ থেকে বান্দাকে দূরে রাখে।
তাক্বওয়া অর্জন কি খুব সহজ ?
না! খুব সহজ না, আবার খুব কঠিনও না। কেননা ( আল্লহ কাউকে তার সাধ্য ব্যাতীত কোন কাজের ভার দেন না।) – সূরা বাকারা:২৮৬ আমাদেরকে প্রতিটি কাজের আগে চিন্তা করতে হবে – কাজটি কি আল্লহর সন্তুষ্টির জন্য করছি নাকি নাফসের সন্তুষ্টির জন্য? এভাবে কাজ করা অনেক কঠিন কিন্তু কথায় আছে না – ” practice makes a man perfect. ” অনুশীলনের মাধ্যমে কঠিন কাজই সহজ হয়ে যায় আলহামদুলিল্লাহ। কষ্ট যা করার প্রথম কিছুদিনই করতে হয় এবং অভ্যস্ত হয়ে গেলে আর কঠিন লাগে না আলহামদুলিল্লাহ ।
এতক্ষণ যা বলেছি তা শুধুমাত্র রমাদ্বানের জন্য নয়। তাতো বরং প্রতিটি মুহুর্তের জন্য ; যতক্ষণ আমরা বেঁচে থাকবো।
আমরা যখন আল্লহকে ভয় পাবো, তখনই যথাসম্ভব গোনাহ থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করবো ইন শা আল্লহ। কিন্তু শুধু কি গোনাহ থেকে বেঁচে থাকলেই হবে!!! না….! কমপক্ষে ফরজ ইবাদাতগুলির প্রতি যত্নবানও হতে হবে। কেন? কারণ আমরা জাহান্নাম থেকে আশ্রয় চাই এবং চিরস্থায়ীভাবে জান্নাতে থাকতে চাই।
আর ফরজ ইবাদাতের তৃতীয় রুকন হচ্ছে রমাদ্বানের রোজা /সিয়াম। বর্তমানে আসন্ন রমাদ্বানের উদ্দেশ্যে আমরা যা করি, তা কি আসলেই আল্লহর সন্তুষ্টির জন্য রমাদ্বানের উদ্দেশ্যেই করি!!!! আর যদি রমাদ্বানের উদ্দেশ্যে করেও থাকি, সেটা কি আল্লহর ইচ্ছাকে বাস্তবায়ন করার উদ্দেশ্যেই করি?
রমাদ্বানের উসিলায় আল্লহর সন্তুষ্টিই যাদের উদ্দেশ্য তারা কখনোই রমাদ্বানের আগে ও রমাদ্বানে অপ্রয়োজনীয় কাজে সময় ও টাকা অপচয় করবে না, রমাদ্বানকে খাবারের মাস ভেবে বাহারি খাবার রেডি করে ফ্রিজ ভর্তি করবে না। যাদের উদ্দেশ্য আল্লহর সন্তুষ্টি – তারা তো রুটিনমাফিক প্র্যাক্টিস করবে যে, কিভাবে রমাদ্বানের প্রথম দিন থেকেই আল্লহর প্রিয় বান্দা/বান্দির লিস্টে নাম লিখিয়ে নেয়া যায়।
আল্লহ আমাদের উপর সিয়াম কেন ফরজ করেছেন?
সিয়াম ফরজ হওয়ার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা গেছে, ইসলামের অনেক ফরজ ও ওয়াজিব কাজ এসেছে কোনো না কোনো নবী-রসূল বা তাঁদের পরিবারের আলোচিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে। তাঁদের স্মরণার্থে উম্মতদের জন্য অপরিহার্য করা হয়েছে।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়–হাজ্জ্বের সময় সাফা ও মারওয়ার মাঝখানে হাজীদের দৌড়ানোর যে বিধান তা হযরত ইব্রাহিমের (আ.) এর সহধর্মীনি হযরত হাজেরার (রা.) এর স্মৃতির স্মরণার্থে। ছেলে হযরত ইসমাঈলের (আ.) জন্য তিনি পানি খুঁজতে গিয়ে সাফা ও মারওয়ার মাঝখানে সাতবার দৌঁড়েছিলেন। হযরত হাজেরা (রা.) এর এ কাজকে স্থায়ীভাবে স্মরণীয় করে রাখতে সাফা ও মারওয়ার মাঝখানে হাজীদের সাতবার প্রদক্ষিণ করা ওয়াজিব করে দিয়েছেন আল্লহ।
হযরত হাজেরা (রা.) এর মতোই রসূল মুহাম্মদ ছল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর একটি স্মৃতি স্মরণীয় করে রাখতে মাহে রমজানের সিয়াম মুসলমানদের উপর ফরজ করা হয়েছে।
রমজান মাসে বেশ কিছুদিন হযরত মোহাম্মদ ছল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হেরা পর্বতের গুহায় আল্লাহর ধ্যানে নিমগ্ন ছিলেন। দিনের বেলায় পানাহার করতেন না, আর রাতে আল্লহর জিকিরে মশগুল থাকতেন। তাঁর এই ইবাদত-বন্দেগী আল্লহর কাছে এত পছন্দনীয় হয় যে, ঐ ইবাদতে কাটানো দিনগুলো স্মরণীয় করে রাখতে রসূল ছল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উম্মতদের ওপর রমজান মাসের সিয়াম ফরজ করে দেওয়া হয়।
সিয়াম – নবী মুহাম্মদ ছল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পছন্দের ইবাদত ছিল। যখন রমজানের সিয়াম ফরজ হয়নি, তখনও তিনি আশুরার দিন সিয়াম রাখতেন এবং সাহাবিদেরকে (রা.) সিয়াম রাখার নির্দেশ দিতেন। পরে যখন রমজানের সিয়াম ফরজ করে দেওয়া হয় তখন তিনি ও তাঁর সাহাবারা আশুরার সিয়াম রাখা ছেড়ে দেন।
এ প্রসঙ্গে সাহাবি হযরত ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মুহাম্মাদুর রসূলুল্লহ ছল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আশুরার দিন সিয়াম পালন করেছেন এবং এ সিয়ামের জন্য আদেশও দিয়েছেন। পরে যখন রমজানের সিয়াম ফরজ হলো, তখন তা ছেড়ে দেওয়া হয়। (বুখারী-তৃতীয় খণ্ড)
আরেক হাদিসে বর্ণনা রয়েছে, মা আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, জাহেলি যুগে কুরাইশগণ আশুরার দিন সিয়াম পালন করতো, রসূলুল্লহ ছল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও এই সিয়াম পালনের নির্দেশ দেন। অবশেষে রমজানের সিয়াম ফরজ করা হলে রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, যার ইচ্ছা আশুরার সিয়াম রাখবে এবং যার ইচ্ছা সে সিয়াম (আশুরার) রাখবে না। (বুখারী- ৩য় খণ্ড)
মহানবী (সা.) এর আগে তার পূর্ববর্তী নবী-রসূলগণও সিয়াম পালন করতেন। তবে তাদের সিয়ামের ভিন্নতা ছিল। যেমন হযরত আদম (আ.) প্রত্যেক মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ সিয়াম পালন করতেন। (কানযুল ওম্মাল ৮ম খণ্ড ২৫৮ পৃষ্ঠা, হাদিস- ২৪১৮৮)
একইভাবে হজরত নূহ (আ.) দুই ঈদ ছাড়া সবসময় সিয়াম পালন করতেন। (ইবনে মাজাহ, ২য় খন্ড, ৩৩৩পৃষ্ঠা, হাদিস-১৭১৪)
হজরত দাউদ (আ.) একদিন পরপর সিয়াম রাখতেন। (মুসলিম, ৫৮৪ পৃষ্ঠা, হাদিস ১১৮৯)
হজরত সোলায়মান (আ.) মাসের শুরুর তিন দিন, মাসের মধ্যভাগে তিন দিন, মাসের শেষ ভাগে তিন দিন (মাসে ৯দিন) সিয়াম পালন করতেন। (কানযুল ওম্মাল, ৮ম খণ্ড, ৩০৪ পৃষ্ঠা, হাদিস ২৪৬২৪)
হজরত ঈসা (আ.) সবসময় সিয়াম পালন করতেন, কখনও ছাড়তেন না। (মুসলিম, ৫৮৪ পৃষ্ঠা, হাদিস ১১৮৯)
ইসলামে সিয়ামের গুরুত্ব কতখানি তা বলে শেষ করা যাবে না। আল্লাহকে পাওয়ার বড় মাধ্যম এই রমজানের সিয়াম। তাওহিদ ও রিসালাতকে বিশ্বাস করা এবং দ্বীনের সব জরুরি বিষয়ের ওপর ঈমান আনার পর যেভাবে প্রত্যেক মুসলমানের উপর পাঁচ ওয়াক্ত সালাহ ফরজ, ঠিক তেমনি রমজানের সিয়ামও প্রত্যেক সুস্থ ও প্রাপ্ত বয়স্ক (নর-নারী) মুসলিমের উপর ফরজ।
আল্লহর রসূল ছল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আদম সন্তানের প্রতিটি নেক আমলের প্রতিদান দশ থেকে সাত শ’ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। আল্লহ তা’য়ালা বলেন, কিন্তু সিয়ামের বিষয়টা ভিন্ন। কেননা সিয়াম শুধু আমার জন্য এবং আমিই তার প্রতিদান দিবো।’ (মুসলিম)
আমাদের প্রতিপালক আল্লহ সুবহানু ওয়া তা’য়ালা নিজেই যখন এর পুরস্কার দিবেন তখন কী পরিমাণে দিবেন তা কি ভাবা যায়!! ইমাম আওজায়ি র.-এ হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, আল্লাহ যে সিয়াম আদায়কারীকে প্রতিদান দিবেন তা মাপা হবে না, ওজন করা হবে না। কিন্তু অন্যান্য ইবাদত-বন্দেগী ও সৎ কর্মের প্রতিদান হিসাব করে দেয়া হবে।
আজ থেকেই আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই যে,এই রমাদ্বানে আমরা আমাদের নাফসকে সর্বোত্তম নাফসে পরিণত করবো ইন শা আল্লহ।
নাফস ৩ প্রকার। নিম্নে নাফসের প্রকারভেদ আলোচনা করা হলো:
১. নাফসে লাওয়্যামা: নাফসে লাওয়্যামা হচ্ছে সেই নাফস ; যে নাফস নিজের গোনাহের জন্য নিজেকে তিরস্কার করে অর্থাৎ মুমিনের নাফস।
২. নাফসে আম্মারা: নাফসে আম্মারা হচ্ছে সেই নাফস ; যা গোনাহের দিকে আকৃষ্ট হয় অর্থাৎ খারাপ নাফস।
৩. নাফসে মুতমাইন্যা: যে নাফস জন্মগত বা স্বভাবগতভাবে নাফসে আম্মারা হওয়া স্বত্ত্বেও নিজেকে শোধরানোর উদ্দেশ্যে মেহনতের মাধ্যমে লাওয়্যামাতে উন্নীত হয় এবং প্রতিনিয়ত চেষ্টার দ্বারা মুতমাইন্যাতে পরিণত হয়। আর মুতমাইন্যা হচ্ছে সেই নাফস ; যা গোনাহের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করে না বরং তা অপছন্দ করে এবং ভাল কাজের প্রতি আকৃষ্ট হয়।
— নাফসে সালিম: নাফসে মুতমাইন্যারই একটি প্রকার নাফসে সালিম। আর নাফসে সালিম বলা হয় নাফসে মুতমাইন্যার টপ লেভেলকে।
আল্লহ আমাদের নাফসকে নাফসুস সালিম হিসেবে কবুল করে নিন এবং আমাদের ভাল আমলগুলি কবুল করে গোনাহগুলোও নেকীতে পরিণত করে দিন। সর্বোপরি আল্লহর সন্তুষ্টির সাথে মৃত্যু দান করুন এবং জান্নাতুল ফিরদাউসের জন্য কবুল করে নিন।
আল্লাহুম্মা বাল্লিগনা রমাদান!
جزاكم الله خيرا كَثِير