বার্নামিজ - কোর্স প্রোগ্রাম

আম তালীম

  • আকিদা
  • ফিকহ
  • ফিকির

দায়ী ও প্রাথমিক পর্যায়ের ত্বলিবুল ঈল্মের তালীম ও তারবিয়্যাহ পদ্ধতিঃ

  • ১। মুখস্ত করা
  • ২। দার্সে অংশগ্রহণ করা
  • ৩। লিখা ও শাইখদের কাছে মান নির্নয়ের জন্য পাঠানো (বিভিন্ন কিতাব তালখিস করা ও নিজের গবেষণা)
  • ৪। তারবিয়্যাতে অংশ গ্রহণ করা
  • ৫। শাইখদের লেকচার শোনা ও শাইখদের বই পড়া

১।⁠ ⁠মুখস্ত করা

এটি ঈল্ম অর্জনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতিগুলোর মধ্যে একটি। মুখস্ত করার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীকে অবশ্যই শাখাগত বিষয় মুখস্ত করার আগে মূল বিষয়গুলো মুখস্ত করার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। মুখস্ত করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হলো তিনটি-

  • সমগ্র কুরআন কারীম। যদি সম্ভব না হয়, তাহলে যতটুকু সম্ভব মুখস্ত করা। যেটুকো মুখস্ত করবে শাইখদের কাছে পাঠাবে।
  • কুরআনের পরে হাদীসের চেয়ে বড়, মহান এবং উপকারী আর কিছু নেই। সবচেয়ে ভালো হলো ইমাম নববির চল্লিশ হাদীস মুখস্ত করা। এরপর উমদাতুল আহকাম, বুলুগুল মারাম অথবা জামি’ বাইনাস সাহিহাইন- এই তিনটি বইয়ের মধ্যে যেকোনো একটি মুখস্ত করা। এক্ষেত্রে ছাত্রের অবস্থা এবং যোগ্যতা বিবেচ্য। 
  • প্রতিটি বিষয়ের মূলনীতি, এর মতন (মূলপাঠ) এবং মুখতাসার (সারসংক্ষেপ) মুখস্ত করা।

২। দার্স (প্রাথমিক)

প্রাথমিক পর্যায়ের দর্সের মাঝে আমরা শাইখ আহমাদ সাকউব হাফি বার্নামিজকে মৌলিক হিসাবে গ্রহণ করে এর সাথে কিছু বিষয়কে সংযুক্ত করে অগ্রসর হচ্ছি। আমাদের দর্স সমূহ নিম্নোক্ত বিষয়ের উপরে হয়ে থাকে।

আরাবি – 

আরাবি শিক্ষার ক্ষেত্রে আমরা সকল প্রকার ত্বলিবুল ঈল্মকে উৎসাহ প্রদান করি। এটি একটি জরুরী ঈল্ম। 

  • নাহু, সরফ অথবা মাদিনা আরাবিক এর কি বুক 
  • আর আরাবিয়্যাতু বাইনা ইয়াদাইক 
  • আরাবিয়্যাতু লীন নাশিয়্যিন 
  • যে কোন মুতুন, হাদিস ও সিরাতের কিতাব (আলিমের অধীনে)
  • আরাবিতে বক্তব্য দেওয়া (আলিমের অধীনে)

প্রথম মারহালা –

  • সালাসাতুল উসুল ওয়া আদিল্লাতুহআ 
  • আরবাউন নববিয়্যাহ 
  • মানজুমাত আল বাইকুনিয়্যাহ 
  • কুরআন তিলাওয়াত 
  • দালিল উত্‌ ত্বলিব

দ্বিতীয় মারহালা –

  • কিতাবুত তাওহীদ 
  • মানজুমাত আল কাওয়ায়িদুল ফিকহিয়্যা 
  • মুকাদ্দিমাতুল আজরুমিয়্যাহ 
  • কুরআন হিফয (এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া)

তৃতীয় মারহালা –

  • আল আকিদাতুল ওয়াসাতিয়্যাহ 
  • আল ওয়ারাকাত ফি উসুলুল ফিকহ 
  • নুখবাতুল ফিকর ফি মুসতালাহাল আসার 
  • অয়াসিয়্যাতু লি ওয়ালিদিহি 
  • তাফসির ইবনে কাসির

আমাদের সকল দর্স সমূহ উন্মুক্ত। এমন হতে পারে যে কোন ত্বলিবুল ইল্ম একটি মারহালার কিছু কিতাব পড়েছেন। সে ক্ষেত্রে সে অন্য মারহালার দর্স সমূহে অংশগ্রহণ করতে পারেন।

৩। গুরুত্বপূর্ণ বইসমূহ:

একজন ত্বলিবুল ঈল্মের উচিৎ এই বই সমূহ অধ্যায়ন করা। এ ছাড়াও সমসাময়িক বিষয়ে বিভিন্ন শাইখ ও দ্বীনি ব্যাক্তির লিখা সমূহ পড়া। ঈল্মের আলোকে বিভিন্ন বিষয় গবেষণা করা ও লিখা এবং উম্মাতের মুতাবির ওলামাদের কাছে সেই বিষয় সমূহ প্রেরণ করা এবং তাঁদের মতামত সংগ্রহ করা।

বই সমূহ অধ্যায়নের ক্ষেত্রে একজন দায়ী ও ত্বলিবুল ঈল্মকে আমরা তারতিব রক্ষা করার পরামর্শ দিই। যেই ধারাবাহিকতায় এখানে দেওয়া আছে তা অনুসরণ করা যেতে পারে। যেই কিতাবই পড়বেন, তা অবশ্যই কোন একজন আলিমের সাথে বয়া অভিজ্ঞ কোন ত্বলিবুল ঈল্মের সাথে মুজাকারা ও মুনাকাশা করবেন। মনে রাখবেন, ভুল ঈল্ম প্রচার করার থেকে কিছু প্রচার না করা ভালো।

★ আকীদা

  • সালাসাতুল উসুল
  • কাওয়ায়িদুল আরবায়া
  • লুময়াতুল ইতিকাদ
  • শারহুল আকিদাতুত্‌ তহাবিয়্যাহ (ইবনুল ইজ আল হানাফি)
  • ফাতহুল মাজীদ শারহে কিতাব আত-তাওহীদ
  • ইবনে উসাইমীন রাহিমাহুল্লাহর শারহু আকীদাতিল ওয়াসিতিয়্যাহ 
  • কাওয়াঈদুল মুছলা 
  • কাশফুশ শুবুহাত 
  • ইক্বতিদা সিরাতিল মুস্তাকীম 
  • তিবইয়ান ফি শারহি নাওয়াকীদিল ইসলাম

★ তাফসীর

  • সি’দি রাহিমাহুল্লাহর তাইসীরুল আযীযিল হামিদ
  • সি’দি রাহিমাহুল্লাহর কাওয়াঈদুল হিসান 
  • ইবনে কাসীর

★ হাদীস

  • জামীঊল ঊলুম ওয়াল হিকাম 
  • তাইসীরুল ‘আল্লাম দিল বাসসায
  • মানহাতুল ‘আল্লাম 
  • এ সকল প্রাথমিক বই পড়ার পর ফাতহুল বারীর মতো বড় কিতাব পাঠ করা যেতে পারে।

★ হাদীসের পরিভাষা

  • ইবনে উসাইমীন রাহিমাহুল্লাহর শারহুল মানযুমাতিল বায়কুনিয়্যাহ

★ ফিকহ

  • ইবনে উসাইমীন রাহিমাহুল্লাহর মুমতি’

★ সীরাত

  • রাহীকুল মাখতুম

★ জীবনী

  • সিয়ারু আ’লামুন নুবালা

★ উসুলুল ফিকহ

  • আব্দুল্লাহ ফাওযানের তাইসীরুল উসুল

★ কাওয়ায়েদুল ফিকহ

  • সি’দি রাহিমাহুল্লাহর কাওয়ায়েদ

★ নাহু

  • আজরুমিয়্যাহ
  • তুহফাতুস সানিয়্যাহ

★ আদব

  • হিলইয়াতুত তালিবিল ইলম
  • তাযকিরাতুস সামি’ ওয়াল মুতাকাল্লিম

৪। তারবিয়্যাতে অংশ গ্রহণ করা

বিভিন্ন সময় ওলামারা বিভিন্ন তারবিয়্যাত আয়োজন করে থাকেন। নিজের ঈল্মের আলোকে ও ওলামাদের সাথে পরামর্শ ক্রমে সেই তারবিয়াতে অংশগ্রহণ করলে ব্যাক্তিগত, সাংগঠনিক, ও বিভিন্ন রকমের যোগ্যতা তৈরি হয়। যা একজন আবিদের জীবনে বেশ জরুরী কিছু ফায়দা প্রদান করে। এবং উম্মাতকেও শক্তি যোগায়।

৫। শাইখদের লেকচার শোনা ও শাইখদের বই পড়া

শাইখদের লেকচার শোনার ক্ষেত্রে, একজন ব্যাক্তির উচিৎ উম্মাতের কাবির উলামাদের লেকচার সিরিজ সমূহ অনুসরণ করা। এবং বিভিন্ন বিষয়ে উম্মাতের উলামারা কি মতামত পোষণ করেন, তাঁদের ছাত্ররা কি ধরনের রেসপন্স করেন ইত্যাদি বিষয় জানতে ও বুঝতে চেষ্টা করা। এবং একজন ভালো দায়ী ও ত্বলিবুল ঈল্ম সাধারণত বিষয় সমূহ নিয়ে নিজ শাইখের সাথেও মুজাকারা করে থাকেন।

Shopping Cart
Scroll to Top